অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সেখানে স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠনসহ ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে তারা। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নিজেদের সংস্কার প্রতিবেদন পেশ করে কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয় পৌনে ১২টার দিকে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে দেশের স্বাস্থ্যখাত সংস্কারে ৭টি আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে কমিশনটি। প্রস্তাবিত এ নতুন আইনগুলো হলো— বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ এবং প্রবেশাধিকার আইন, অ্যালায়েড হেলথ প্রফেশনাল কমিশনার আইন, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইন। প্রস্তাবনায় ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা যেন আর সরাসরি হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ না পান, সে সুপারিশও করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশ, চিকিৎসকদেরকে ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের ওষুধের কথা জানাতে হবে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদেরকে।২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদফতরের অধ্যাপক ডা. আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র বিজ্ঞানী ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের বিজ্ঞানী ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ডিএমসি) শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এনআইএন